মার্কিন স্টক মার্কেটে অস্থিরতা: এনভিডিয়া ধাক্কা খেয়েছে, ফেড সতর্ক বার্তা দিয়েছে
বুধবার যুক্তরাষ্ট্র-চীন প্রযুক্তি সংঘাতের তীব্রতা এবং ফেডারেল রিজার্ভ চেয়ারম্যানের সতর্কতামূলক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে মার্কিন স্টক মার্কেটে বড় ধরনের দরপতন ঘটে।
বিশ্বের শীর্ষ চিপ নির্মাতাদের একটি এনভিডিয়া জানায় যে কঠোর রপ্তানি বিধিনিষেধের কারণে কোম্পানিটি বিলিয়ন ডলারের ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। সেই সঙ্গে ফেডারেল রিজার্ভ চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের মন্তব্য বিনিয়োগকারীদের আরও চাপে ফেলেছে, যেখানে তিনি মার্কিন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মন্থরতার ইঙ্গিত দেন।
নিষেধাজ্ঞার ফাঁদে এনভিডিয়া
মঙ্গলবার গভীর রাতে এনভিডিয়া জানায়, তারা $5.5 বিলিয়ন পর্যন্ত লোকসানের মুখে পড়তে পারে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষ তাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক প্রধান H20 চিপ চীনে রপ্তানির ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। চীন হচ্ছে এনভিডিয়ার হাই-টেক পণ্যের অন্যতম প্রধান ক্রেতা, এবং এই নিষেধাজ্ঞা কোম্পানির সবচেয়ে লাভজনক সেগমেন্টে সরাসরি আঘাত হেনেছে।
বাণিজ্যযুদ্ধে নতুন মোড়
এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার অর্থনৈতিক সংঘাতের আরও এক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত। এর আগে, ওয়াশিংটনের পদক্ষেপের জবাবে বেইজিং যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর শুল্ক 125%-এ উন্নীত করে। ট্রাম্প প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক 145%-এ উন্নীত করা হয়েছিল, যা সুরক্ষামূলক বাণিজ্যনীতির আরও একটি দৃষ্টান্ত।
পাওয়েল বললেন: মূল্যস্ফীতি কমছে না, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মন্থর হচ্ছে
শিকাগো ইকোনমিক ক্লাবের বক্তব্যে জেরোম পাওয়েল বলেন, বর্তমান অর্থনৈতিক বাস্তবতায় শিথিল হওয়ার সুযোগ নেই। তিনি বলেন, শুল্ক নীতিমালা পণ্যের দামে বৃদ্ধি ঘটাচ্ছে, যার অর্থ মূল্যস্ফীতির চাপ প্রত্যাশার চেয়ে দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। তবে ফেডের প্রধান জানান, তারা সুদের হারে তড়িঘড়ি করে পরিবর্তন আনবে না — শুধুমাত্র নতুন সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত আসবে।
স্টক মার্কেটে আতঙ্ক: বিক্রির প্রবণতা তীব্র হচ্ছে
এনভিডিয়ার নেতিবাচক খবরের পরই শুরু হওয়া বিক্রির প্রবণতার মধ্যেই পাওয়েলের বক্তব্য আসে, যা মার্কেটের ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করে। ফলস্বরূপ, বুধবার মার্কিন স্টক মার্কেটে বড় ধরনের দরপতন হয়—বিশেষ করে টেক জায়ান্ট ও মাইক্রোচিপ প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলোর শেয়ার ব্যাপকভাবে বিক্রি হতে থাকে।
ওয়াল স্ট্রিট চাপের সম্মুখীন: তিনটি প্রধান সূচকেরই বড় দরপতন
বছরের শুরু থেকে বুধবারই ছিল মার্কিন স্টক মার্কেটের সবচেয়ে নাটকীয় দিনগুলোর একটি, যেখানে তিনটি প্রধান স্টক সূচক গভীর দরপতনের শিকার হয়।
ডাও জোন্স ইনডাস্ট্রিয়াল অ্যাভারেজ সূচক 699 পয়েন্ট কমে 39,669.39 লেভেলে থাকা অবস্থায় ট্রেডিং শেষ হয়, যা 1.73% দরপতন। S&P 500 সূচক আরও বেশি—120.93 পয়েন্ট বা 2.24% কমে—5,275.70-এ নেমে আসে। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয় হাই-টেকনির্ভর নাসডাক কম্পোজিট সূচক, যা 516 পয়েন্ট বা 3.07% কমে 16,307.16-এ নেমে আসে। দৈনিক সর্বনিম্ন লেভেল ছিল 16,066.46।
অস্থিরতার বিপদসংকেত: উদ্বেগ সূচক ঊর্ধ্বমুখী
যখন বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেট থেকে মূলধন সরিয়ে নিচ্ছেন, তখন ওয়াল স্ট্রিটের উদ্বেগের অনানুষ্ঠানিক সূচক Cboe VIX ভোলাটিলিটি সূচক হঠাৎ করে বেড়ে গেছে।
বুধবার VIX 32.64-এ পৌঁছেছে, যা মার্কেটের ট্রেডারদের মধ্যে তীব্র উদ্বেগের সংকেত দেয়। এই ধরনের স্তর সাধারণত বাড়তি অনিশ্চয়তা এবং ভবিষ্যতে আরও অস্থিরতার সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেয়।
দ্বিগুণ চাপে এনভিডিয়া ও এএমডি
টেক সেক্টর ছিল দরপতনের মূল কেন্দ্রবিন্দু। সেমিকন্ডাক্টর নির্মাতারা, যারা নতুন করে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার শিকার হয়েছে, তারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বুধবার এনভিডিয়ার স্টকের দর 6.9% কমেছে, যা নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত খবরে শুরু হওয়া দরপতনের ধারাবাহিকতা। এএমডি-এর শেয়ারের মূল্যও অনুরূপভাবে 7.3% কমেছে। এর ফলে সেমিকন্ডাক্টর কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিত্বকারী SOX ইন্ডাস্ট্রি সূচক 4.1% কমে গেছে—যা সাম্প্রতিক মাসগুলোর অন্যতম বড় পতন।
ASML উদ্বেগের ইঙ্গিত দিচ্ছে
এই অনিশ্চয়তা শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই সীমাবদ্ধ নেই। ইউরোপের বৃহত্তম চিপ-ইকুইপমেন্ট নির্মাতা ডাচ কোম্পানি ASML পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
বুধবার এক বিবৃতিতে ASML জানায়, শুল্ক ও নিষেধাজ্ঞা ভবিষ্যতের চাহিদা এবং সাপ্লাই চেইনের স্থিতিশীলতা নিয়ে বড় ধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি করছে। এর ফলে শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, ইউরোপীয় মার্কেটেও উদ্বেগ ছড়িয়েছে।
ইউরোপ দম বন্ধ করে অপেক্ষা করছে
যখন যুক্তরাষ্ট্রের স্টক মার্কেট আবারও বড় ধরনের অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, ইউরোপের বিনিয়োগকারীরা এখনো অপেক্ষর মনোভাব বজায় রেখেছে।
STOXX 600 সূচক, যা ইউরোপের বৃহত্তম কোম্পানিগুলোর পারফরম্যান্সকে প্রতিনিধিত্ব করে, বৃহস্পতিবার ট্রেডিং শুরুর দিকে 0.4% কমে যায়। তা সত্ত্বেও, সপ্তাহের শুরু থেকে সূচকটি প্রায় 4% বেড়েছে—কারণ বাণিজ্য সংঘাতে নতুন উত্তেজনার অনুপস্থিতি সাময়িক স্থিতিশীলতা এনেছে। তবে বিনিয়োগকারীরা ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আসন্ন আর্থিক নীতিমালার সিদ্ধান্তের দিকে সতর্ক নজর রাখছে।
ঝড়ের আগে নিস্তব্ধতা: লম্বা ছুটির প্রাক্কালে বাজারে শ্বাসরুদ্ধ অবস্থা
বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি নিতে চাইছেন না এবং বড় অংকের ট্রেড করার সিদ্ধান্ত পিছিয়ে দিয়েছেন—কারণ সামনে গুড ফ্রাইডে ও ইস্টার মানডের কারণে লম্বা উইকেন্ড আসছে।
ট্রেডিংয়ের নিম্নগতিশীলতা শুধুমাত্র ধর্মীয় ক্যালেন্ডার দ্বারা নয়, বরং বৈশ্বিক অর্থনীতির বাড়তি অস্থিরতার কারণেও হচ্ছে। মার্কেটের ট্রেডাররা চাচ্ছেন ছুটির চার দিনে ট্রেডিং ক্রার্যক্রম সীমিত রাখতে, যখন তাদের অংশগ্রহণ ছাড়া বৈশ্বিক ঘটনা ঘটে যেতে পারে এবং তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানানোর কেউ থাকবে না।
বিলাসবহুল পণ্যের খাতের পতন: Hermès ও LVMH প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ
মার্কেটের লাক্সারি সেগমেন্টও ব্যর্থ হয়েছে: Hermès-এর শেয়ারের দর 4% কমেছে, কারণ তাদের প্রান্তিকভিত্তিক বিক্রয় প্রত্যাশার তুলনায় কম হয়েছে—যা কিংবদন্তি বার্কিন ব্যাগ প্রস্তুতকারকের জন্য বিরল ঘটনা।
ফরাসি ফ্যাশন হাউজ LVMH-এর মতো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠান আগেই সপ্তাহের শুরুতে দুর্বল আয়ের প্রতিবেদন দিয়ে বিনিয়োগকারীদের হতাশ করেছিল। মনে হচ্ছে, বৈশ্বিক ভোক্তা চাহিদার অনিশ্চয়তার মাঝে লাক্সারি বা বিলাসবহুল পণ্যের খাতও জৌলুস হারাচ্ছে।
জ্বালানি খাতে চমক: সিমেন্সের বড় সাফল্য
লাক্সারি বা বিলাসবহুল পণ্যের খাতের বিপরীতে সিমেন্স এনার্জি বিনিয়োগকারীদের জন্য আশার আলো দেখিয়েছে—কোম্পানিটির শেয়ারের দর 10% পর্যন্ত বেড়ে গেছে।
জার্মান এনার্জি হোল্ডিং কোম্পানিটি চলতি অর্থবছরের জন্য ইতিবাচক পূর্বাভাস প্রকাশ করেছে এবং সিমেন্স এজি থেকে আলাদা হওয়ার পর থেকে সর্বোচ্চ মুনাফা অর্জনের তথ্য জানিয়েছে। এটি গোটা জার্মানির স্টক মার্কেটের জন্য ইতিবাচক খবর, যেখানে জ্বালানি খাতে শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার কারণে বেঞ্চমার্ক DAX সূচক ইউরোপীয় প্রতিদ্বন্দ্বীদের ছাড়িয়ে গেছে।
এশিয়ায় ট্রেডিংয়ে মিশ্র ফলাফল, তবে আশাবাদ অব্যাহত
এশিয়ার স্টক সূচকগুলো ভিন্ন ভিন্ন দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শন করেছে, তবে সামগ্রিক প্রবণতা মাঝারি মেয়াদে বুলিশ রয়ে গেছে।
জাপানের নিক্কেই সূচক 0.7% বেড়েছে, যদিও ইয়েন দুর্বল হয়েছে, কারণ জাপান যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনা শুরু করেছে। অপ্রত্যাশিতভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই আলোচনায় অংশ নিয়ে "উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি"র কথা বলেছেন।
জটিল চিত্র: মার্কিন স্টক মার্কেটে পতনের মধ্যেও এশিয়ার স্টক মার্কেটের মজবুত অবস্থান
বৈশ্বিক স্টক মার্কেটগুলোর পরিস্থিতি এখনো রোলার কোস্টারের মতো। তবুও এশিয়ার স্টক মার্কেটগুলোতে ইতিবাচক প্রবণতা টিকে আছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার KOSPI সূচক 0.7% বৃদ্ধি দেখিয়েছে। তবে তাইওয়ানের TWII সূচক 0.5% কমেছে। এই বিভাজন দেখাচ্ছে যে বিনিয়োগকারীরা এখনো সহায়তা খুঁজছেন, ভূরাজনীতি ও স্থানীয় অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের মাঝখানে ভারসাম্য রাখার চেষ্টা চলছে।
ইউরোপের ট্রেডাররা অপেক্ষায় রয়েছে: ফিউচারস সতর্ক সূচনার ইঙ্গিত দিচ্ছে
ইউরোপীয় ট্রেডিং শুরু হওয়ার আগে সংযত প্রত্যাশা করা হচ্ছে। ফিউচারস সূচকগুলো অপরিবর্তিত বা সামান্য ইতিবাচক প্রবণতা শুরুর ইঙ্গিত দিচ্ছে।
পুরনো বিশ্বের মার্কেটগুলো এখন ধীরে মুভমেন্ট প্রদর্শন করবে, কর্পোরেট আয়ের প্রতিবেদন, ইসিবির সংকেত এবং ট্রাম্পের ব্যতিক্রমধর্মী বাণিজ্য নীতির প্রভাব বিশ্লেষণ করেই বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। যদিও বড় ধরনের মুভমেন্টের সম্ভাবনা কম, তবুও সামগ্রিক প্রেক্ষাপট এখনো চাপযুক্ত।
সব নজর তাইওয়ানের জায়ান্টের দিকে: ট্রেডাররা TSMC-এর আয়ের প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করছে
বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি এখন সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম প্রধান খেলোয়াড়—তাইওয়ান সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কোং (TSMC)-র দিকে রয়েছে। তাদের মুনাফার পূর্বাভাসই চিপ মার্কেটের পরিস্থিতি নির্ধারণ করতে পারে। ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা ও প্রযুক্তি খাতে নিষেধাজ্ঞার নতুন ঢেউয়ের মধ্যে, TSMC-এর প্রতিবেদন থেকে বোঝা যাবে যে এই খাতটি কতটা টেকসই অবস্থায় অর্যেছে এবং আগামী প্রান্তিকগুলোতে কতটা প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা আছে।
চীনে সংযত আশাবাদ, হংকংয়ের স্টক সূচকে প্রবৃদ্ধি
চীনের মূল ভূখণ্ডে ট্রেডিং স্থিতিশীল ছিল, যেখানে CSI300 সূচক প্রায় অপরিবর্তিত ছিল। তবে হংকংয়ের হ্যাং সেং সূচক 1.6% বেড়েছে।
এই প্রবৃদ্ধির পেছনে ছিল টেক কোম্পানিগুলোর স্টকের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা—যারা সাম্প্রতিক বিক্রির চাপ কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ট্রেডাররা এখনো ধারণা করছেন বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও হাই-টেক সেক্টরে চাহিদা ফিরে আসবে।
বন্ড মার্কেটে স্থিতিশীলতা, ইয়েল্ড বাড়ছে
মার্কিন সরকারি ঋণের বাজার সারা সপ্তাহ ধরে তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল ছিল। ১০-বছরের ট্রেজারি বন্ডের ইয়েল্ড মাত্র ৩ বেসিস পয়েন্ট বেড়ে 4.311%-এ পৌঁছেছে।
এটি বিনিয়োগকারীদের সংযত মনোভাবকে ইঙ্গিত করে: তারা এখনো সামষ্টিক প্রেক্ষাপট পর্যবেক্ষণ করছে, নিরাপদ অ্যাসেট থেকে হুট করে বিনিয়োগ সরিয়ে নিচ্ছে না।
কারেন্সি মার্কেটে ওঠানামা: ইউরো দুর্বল হয়েছে, ডলার শক্তিশালী এবং ইয়েন আবার দুর্বল হয়েছে
ইউরোর দর 0.3% কমে $1.1367-এ নেমেছে, যদিও এটি গত সপ্তাহে পৌঁছানো তিন বছরের সর্বোচ্চ লেভেলের কাছাকাছি রয়েছে। সামনে ইসিবির সিদ্ধান্ত প্রকাশিত হবে, এবং ট্রেডাররা প্রায় নিশ্চিত যে শীঘ্রই সুদের হার কমানো হবে।
ডলার সূচক, যা ছয়টি প্রধান মুদ্রার বিপরীতে মার্কিন ডলারের শক্তি পরিমাপ করে, তা সামান্য বেড়ে 99.562 হয়েছে।
অন্যদিকে ইয়েনের বড় ধরনের ওঠানামা দেখা যাচ্ছে: সেশনের শুরুতে সাত মাসের উচ্চতায় পৌঁছানোর পর, এটি 0.55% কমে $142.64-এ নেমে আসে। কারণ, জাপানের অর্থনীতি মন্ত্রী রেসেই আকাজাওয়া জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় মুদ্রা সংক্রান্ত কোনো ইস্যু উত্থাপিত হয়নি।
স্বর্ণের দাম আবারও চড়া: বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ বিনিয়োগের দিকে ধাবিত হচ্ছে
স্বর্ণের দাম নতুন সর্বোচ্চ রেকর্ড সৃষ্টি করেছে, ট্রেডিংয়ের সময় প্রতি আউন্স $3,357.40-এ পৌঁছেছে। পরে এটি কারেকশন হয়ে $3,341.91-এ নেমে এলেও এখনও খুবই উচ্চ লেভেলে রয়েছে।
মূল্যস্ফীতি ও সুদের হারের অনিশ্চয়তা এবং ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে স্বর্ণের প্রতি চাহিদা স্থির রয়েছে। বিনিয়োগকারীরা নির্ভরযোগ্য অ্যাসেটে আশ্রয় নিচ্ছেন, আর 'হলুদ ধাতু' এখনো অন্যতম প্রধান বিকল্প হিসেবে বিবেচিত।
কালো স্বর্ণের দামে নতুন করে চাপ: সরবরাহ সংকটের আশঙ্কায় তেলের দাম বাড়ছে
তেলের দাম বাড়তে শুরু করেছে—সরবরাহ হ্রাসের আশঙ্কা এটির মূল্য নতুন উচ্চতার দিকে যাচ্ছে।
ব্রেন্ট ফিউচারসের দর 0.93% বেড়ে ব্যারেলপ্রতি $66.46-এ স্থির হয়েছে। আমেরিকান WTI-এর মূল্যও 1%-এর বেশি বেড়ে $63.20 হয়েছে। মার্কেটের ট্রেডাররা আশা করছেন, সরবরাহ বিভ্রাট এবং ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার কারণ স্বল্প-মেয়াদে জ্বালানির চাহিদা বৃদ্ধি পাবে।