এই সপ্তাহে, EUR/JPY পেয়ারের মূল্য সেপ্টেম্বর ২০২৪-এর সর্বনিম্ন স্তর থেকে ধারাবাহিকভাবে পুনরুদ্ধার করছে। আজ, টানা তৃতীয় সেশনে পেয়ারটির মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে এবং মূল্য সাপ্তাহিক সর্বোচ্চ প্রায় 159.67 লেভেলে পৌঁছেছে। এই বুলিশ মুভমেন্ট মূলত জাপানি ইয়েনের দরপতনের কারণে হয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পণ্য আমদানির ওপর নতুন শুল্ক আরোপের সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রভাব সংক্রান্ত উদ্বেগ জাপানি ইয়েনের উল্লেখযোগ্য দরপতন ঘটিয়েছে। এর ফলে, প্রধান কারেন্সিগুলোর ইয়েন তুলনায় নিরাপদ বিনিয়োগ (safe-haven) হিসেবে কম নির্ভরযোগ্য হয়ে উঠেছে। এর সাথে, সামগ্রিকভাবে মার্কেটে ঝুঁকি গ্রহণের প্রবণতা বেড়েছে, যা ব্যাংক অব জাপানের সুদের হার বৃদ্ধির প্রত্যাশাকে ছাপিয়ে গেছে এবং ইয়েনের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সম্ভাবনা আরও কমিয়ে দিয়েছে।
অন্যদিকে, বৈশ্বিক বাণিজ্য উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ায় ইউরো ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে লড়াই করছে। ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতি ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং অন্যান্য দেশের সাথে বাণিজ্য চুক্তিকে ব্যাহত করেছে, যা ইউরোজোন অর্থনীতির জন্য বাড়তি ঝুঁকি সৃষ্টি করেছে। জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ এবং ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যাঁ-নোয়েল ব্যারো ট্রাম্পের সাম্প্রতিক শুল্ক ঘোষণার জবাবে ইইউর প্রতিক্রিয়া জানানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন, যা মার্কেটে আরও অনিশ্চয়তা যোগ করছে।
ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ECB) ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান EUR/JPY পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করতে পারে। তিন দিনের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পরেও, দৈনিক চার্টের টেকনিক্যাল সূচকগুলো এখনো নেতিবাচক অঞ্চলে রয়েছে, যা নির্দেশ করে যে বর্তমান পর্যায়ে EUR/JPY পেয়ারের মূল্য আরও শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট ধরে রাখার জন্য যথেষ্ট গতি অর্জন করতে পারেনি।
আজ মার্কেটে প্রভাব বিস্তার করার মতো কোনো গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হচ্ছে না, ফলে EUR/JPY পেয়ারের মূল্য মূলত ইয়েনের মুভমেন্ট দ্বারা প্রভাবিত হতে থাকবে। যদিও বর্তমান পুনরুদ্ধার ইতিবাচক, তবে টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ অনুযায়ী, স্বল্পমেয়াদে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ধরে রাখা কঠিন হতে পারে।