logo

FX.co ★ ৫ মার্চ কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

৫ মার্চ কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

মঙ্গলবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ

EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট

৫ মার্চ কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

মঙ্গলবার, EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত ছিল, যখন সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ এই পেয়ারের উপর বিশেষ প্রভাব বিস্তার করেনি। গতকাল শুধুমাত্র একটি গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল এবং সেটি হচ্ছে ইউরোজোনের বেকারত্ব প্রতিবেদন। এই প্রতিবেদনটি ইউরোর জন্য সহায়ক হতে পারত, কারণ বেকারত্বের হার 6.3% থেকে 6.2%-এ নেমে এসেছে, যা ট্রেডারদের জন্য একটি অপ্রত্যাশিত পরিবর্তন ছিল। তবে, আমরা এখনো মনে করি যে সোমবার বা মঙ্গলবার পরিলক্ষিত এই পেয়ারের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়টি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে না। কিছু প্রতিবেদন ইউরোর জন্য ইতিবাচক সংকেত দিলেও, সেগুলো মার্কেটে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে সক্ষম নয়।

বর্তমানে ডলারের দুর্বলতার মূল কারণ হল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার ধারাবাহিক বক্তব্য। ট্রাম্প ক্রমাগত আমদানির ওপর শুল্ক আরোপ করছেন, দাবি করছেন যে "প্রায় প্রতিটি দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অন্যায় আচরণ করছে"। এর ফলে, ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া হিসাবে মার্কিন ডলার, মার্কিন স্টক এবং এমনকি ক্রিপ্টোকারেন্সিগুলোও বিক্রির প্রবণতার সম্মুখীন হয়েছে।

EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট

৫ মার্চ কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

মঙ্গলবার, ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে বেশ কয়েকটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, তবে বেশ বিশৃঙ্খল মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হয়েছে। এই পেয়ারের মূল্যের প্রবণতা বারবার পরিবর্তিত হয়েছে, এবং এই ওঠানামাগুলোর পেছনে খুব বেশি যৌক্তিক ব্যাখ্যা পাওয়া যাচ্ছে না। মার্কেটের ট্রেডাররা ট্রাম্পের বিবৃতির ওপর ভিত্তি করে আবেগপ্রবণভাবে ট্রেডিং করছে। এই আবেগগুলোই ইউরোর মূল্যের বৃদ্ধি ঘটাচ্ছে, যখন ফেডারেল রিজার্ভ ও ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদের হারের পার্থক্য, মার্কিন অর্থনীতির শক্তিশালী পরিস্থিতি, এবং ইউরোপীয় অর্থনীতির তুলনামূলক দুর্বলতা—এসব বিষয়ই উপেক্ষিত হচ্ছে। ফলে, বেশিরভাগ ট্রেডিং সিগন্যাল লাভজনক হচ্ছে না।

বুধবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

ঘণ্টাভিত্তিক চার্টে, এখনও মাঝারি-মেয়াদে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা বিরাজ করছে। যেহেতু সামষ্টিক ও মৌলিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মার্কিন ডলারের জন্য বেশি অনুকূল, আমরা এখনো ধারণা করছি যে এই পেয়ারের দরপতন অব্যাহত থাকবে। তবে, মূল নিম্নমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার আগে ঘণ্টাভিত্তিক চার্টে আরও কয়েকবার স্বল্পমেয়াদী প্রবণতা দেখা যেতে পারে। এটি ইউরোর মূল্যের বৃদ্ধি নয়, বরং ডলারের দুর্বলতা হিসেবে বিবেচনা করা যায় যা ট্রাম্পের গৃহীত পদক্ষেপের কারণে ঘটছে।

বুধবার, ইউরোর মূল্য যে কোনো দিকে যেতে পারে। বর্তমানে সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ নয়, কারণ ট্রাম্প যেকোনো সময় নতুন কোনো বিবৃতি দিতে পারেন, যা বাজার পরিস্থিতির বড় ধরনের পরিবর্তনের দিকে নিয়ে যেতে পারে।

৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে পর্যবেক্ষণযোগ্য গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো হল: 1.0156, 1.0221, 1.0269-1.0277, 1.0334-1.0359, 1.0433-1.0451, 1.0526, 1.0596, 1.0678, 1.0726-1.0733, 1.0797-1.0804, এবং 1.0845-1.0851।

বুধবার, ইউরোজোন, জার্মানি, এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সার্ভিস সেক্টরের PMI সূচক প্রকাশিত হবে, পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের ADP থেকে কর্মসংস্থান সংক্রান্ত প্রতিবেদনও প্রকাশিত হবে। তবে, বর্তমানে মার্কেটে সামষ্টিক প্রতিবেদনগুলোর তুলনায় ট্রাম্পের বক্তব্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলছে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন ওপেন করা হয় (যা টেক প্রফিট ট্রিগার করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ভুল সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যাল নাও গঠিত হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শন করার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেট থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

* এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ মানে আপনার সচেতনতা বৃদ্ধি করা, কিন্তু একটি ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদান করা নয়
Go to the articles list Go to this author's articles Open trading account