logo

FX.co ★ ৬ মার্চ কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

৬ মার্চ কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

বুধবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ

GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

৬ মার্চ কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

বুধবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি অব্যাহত ছিল। সপ্তাহের শুরুতে ইউরোপীয় মুদ্রার শক্তিশালী হওয়ার কোনো যৌক্তিক কারণ ছিল না, তবে পাউন্ড স্টার্লিংয়ের এই মূল্য বৃদ্ধির যৌক্তিকতা আরও কম ছিল। উভয় মুদ্রার মূল্যই মূলত ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিবৃতির কারণে বৃদ্ধি পাচ্ছে, যদিও তিনি শান্তি, সদিচ্ছা ও ঐক্যের ডাক দিচ্ছেন, তবে তার কার্যক্রম প্রায়শই এর বিপরীত ফল বয়ে আনে। "শান্তির" ধারণা বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে; ট্রাম্প ইউক্রেনে যুদ্ধ শেষ করতে চান, তবে তিনি এমন শর্ত জুড়ে দিয়েছেন যা কিয়েভ বা মস্কো কোনো পক্ষই বর্তমানে গ্রহণ করতে প্রস্তুত নয়। এর পাশাপাশি, তিনি চীন, কানাডা, মেক্সিকো, ভারত এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বাণিজ্যিক উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলছেন, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের অংশীদারদের সঙ্গে সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এই পরিস্থিতিতে, মার্কেটের ট্রেডাররা কীভাবে মার্কিন ডলারের প্রতি প্রতিক্রিয়া দেখাবে তা অনুমান করা কঠিন নয়।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

৬ মার্চ কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

বুধবার, ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে তিনটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। প্রথম বাই সিগন্যালটি 1.2791-1.2798 রেঞ্জ ব্রেক করার পর পাওয়া যায়, সেসময় এই পেয়ারের মূল্য নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছেছিল। দ্বিতীয় সিগন্যালটি 1.2848-1.2860 রেঞ্জ থেকে রিবাউন্ডের মাধ্যমে সেল সিগন্যাল হিসেবে গঠিত হয়েছিল, সেসময় মূল্য লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি পৌঁছায়। তৃতীয় বাই সিগন্যালটি 1.2848-1.2860 রেঞ্জ ব্রেক করার পর দেখা দেয়, যার ফলে আরও একটি লাভজনক ট্রেডের সুযোগ পাওয়া যায়, যদিও এই পেয়ারের মূল্য তখন পর্যন্ত 1.2913 এর লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছায়নি। তবে সৌভাগ্যবশত, এই ট্রেডগুলোর কোনোটি থেকে লোকসানের সম্মুখীন হতে হয়নি।

বৃহস্পতিবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, স্বল্পমেয়াদে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হতে পারে, তবে ট্রাম্প সেটি প্রতিরোধ করার জন্য যা কিছু করা সম্ভব সবই করছেন। আমরা এখনও মাঝারি-মেয়াদে 1.1800 লেভেলের দিকে পাউন্ডের দরপতনের প্রত্যাশা করছি, কারণ এটিই সবচেয়ে যৌক্তিক ফলাফল বলে মনে হচ্ছে। তবে, এখন আমাদের দৈনিক টাইমফ্রেমে ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন শেষ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে এবং ঘণ্টাভিত্তিক চার্টের ট্রেন্ডলাইনের নিচে এই পেয়ারের মূল্যের কনসোলিডেশন হতে হবে। এছাড়া, ট্রাম্পের নতুন নিষেধাজ্ঞা বা শুল্ক আরোপ বন্ধ করার অপেক্ষাও করা উচিত।

বৃহস্পতিবার, যদি ডোনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বব্যাপী বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি এবং বিভিন্ন শর্ত আরোপ অব্যাহত রাখেন তাহলে GBP/USD আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ ট্রেডিং লেভেলের উপর ভিত্তি করে লেনদেন করা যেতে পারে, তবে এগুলো প্রায়ই উপেক্ষিত হচ্ছে।

৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে গুরুত্বপূর্ণ ট্রেডিং লেভেলগুলো হলো: 1.2164-1.2170, 1.2241-1.2270, 1.2301, 1.2372-1.2387, 1.2445, 1.2502-1.2508, 1.2547, 1.2613, 1.2680-1.2685, 1.2723, 1.2791-1.2798। বৃহস্পতিবার, যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্রে কোনো গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই, তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে এগুলোর প্রয়োজনও নেই। এমনকি যদি ট্রাম্প আজ নতুন করে নিষেধাজ্ঞা বা শুল্ক আরোপ না করেন, তাহলেও তার আগের সিদ্ধান্তগুলোর কারণে মার্কিন ডলার দুর্বল হতে পারে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন ওপেন করা হয় (যা টেক প্রফিট ট্রিগার করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ভুল সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যাল নাও গঠিত হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শুন পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেট থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত কৌশল হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

* এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ মানে আপনার সচেতনতা বৃদ্ধি করা, কিন্তু একটি ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদান করা নয়
Go to the articles list Go to this author's articles Open trading account