S&P 500
মঙ্গলবারের মার্কিন প্রধান স্টক সূচকগুলোর সারসংক্ষেপ:
- ডাও জোন্স: -0.8%
- নাসডাক: -2.2%
- S&P 500: -1.6%, বর্তমান অবস্থান 4,983, ট্রেডিং রেঞ্জ: 4,800–5,700
ট্রাম্প প্রশাসনের ঘোষণানুযায়ী, ৮ এপ্রিল জানানো হয় যে ৯ এপ্রিল থেকে চীনা পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রে নতুন এবং আরও উচ্চ হারে শুল্ক কার্যকর হবে—যেটির হার দাঁড়াবে 104%। মূলত, এটি একটি কঠোর বাণিজ্যযুদ্ধের ইঙ্গিত এবং যুক্তরাষ্ট্র-চীনএর বাণিজ্যের কার্যত সম্পূর্ণ বিচ্ছেদ, যা চীনা পণ্যের আমদানির ওপর একপ্রকার নিষেধাজ্ঞার শামিল।
ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যস্থতায় ১২ এপ্রিল ওমানে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র বৈঠক নির্ধারিত হয়েছে। উপসংহার: ১৩ এপ্রিলের আগে ইরানে সামরিক হামলার সম্ভাবনা নেই।
ট্রাম্পের ৭ এপ্রিলের বক্তব্য: "যুক্তরাষ্ট্র এখন প্রতিদিন নতুন শুল্ক থেকে $2 বিলিয়ন উপার্জন করছে।" এটি সত্য হতে পারে, কারণ মার্কিন বার্ষিক আমদানি প্রায় $3.2 ট্রিলিয়ন। যদি 10% হারে শুল্ক ধরা হয়, তবে তা দাঁড়ায় $320 বিলিয়নে—এর সঙ্গে রয়েছে উচ্চ হারে নির্ধারিত নতুন শুল্ক। তাই এটি বাস্তবসম্মত হতে পারে।
উপসংহার: ট্রাম্পের সমালোচকদের উদ্দেশ্যে বলছি—আপনার দেশ যদি এই শুল্কের আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ব্যবসা না করতে চায়, তবে না-ই করুক। কল্পনা করুন, আপনি আপনার শহরের বাজারে টমেটো বিক্রি করতে যান, আর বাজার কর্তৃপক্ষ বলে, প্রতিদিন স্টল ভাড়ার জন্য $10 দিতে হবে। আপনি যদি এতে আপত্তি করেন, তাহলে সেই বাজারে না গেলেও চলে। এটা নিজস্ব সিদ্ধান্তের ব্যাপারে। (বিশেষ দ্রষ্টব্য: আমি ট্রাম্পের শুল্কনীতির সমর্থক নই।)
তবে, যদি ট্রাম্প বছরে $600–700 বিলিয়ন পরিমাণ শুল্ক আদায়ে সফল হন, তাহলে এই অর্থ দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণের সুদের অর্থ পরিশোধ করা সম্ভব হতে পারে।
উপসংহার: আমরা এখনো নিশ্চিতভাবে বলতে পারছি না যে মার্কিন স্টক মার্কেটে যা ঘটছে তা একটি বিয়ারিশ প্রবণতা, না কি একটি বৃহৎ মাত্রার কারেকশন। এখানে একাধিক সম্ভাবনা রয়েছে। একটি সম্ভাবনা হলো, যুক্তরাষ্ট্র ও চীন কোনভাবে শুল্ক ও বাণিজ্য বিষয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে পারে, যা পারস্পরিক শুল্ক হ্রাস করে মার্কেটে আশাবাদের ঢেউ সৃষ্টি করতে পারে এবং উল্লেখযোগ্য ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা সৃষ্টি করতে পারে।
অন্য একটি নেতিবাচক সম্ভাবনা হলো, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে কোনও বাণিজ্য চুক্তি না হলে, বাণিজ্যের পরিমাণের হ্রাস এবং যুক্তরাষ্ট্রের জিডিপি সামান্য হ্রাস পেতে পারে, আর চীনের জিডিপিতে আরও বড় পতন ঘটতে পারে।
এছাড়া 'ফর্ক ইন দ্য রোড' বা মোড়ের সম্ভাবনাও রয়েছে—যুক্তরাষ্ট্রে মুদ্রাস্ফীতি কি নাটকীয়ভাবে বাড়বে? যদি না বাড়ে, তাহলে এই পরিস্থিতিতে ওয়াল স্ট্রিটে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। আপাতত ভবিষ্যৎ পরিস্থিতি এখনও অনিশ্চিত।
ট্রাম্প চীনের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহ দেখাচ্ছেন। চীন নিজেদের ক্ষতিগ্রস্ত মনে করছে, কারণ এটা স্পষ্ট যে বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার আলোচনার ভবিষ্যতও অস্পষ্ট। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।