logo

FX.co ★ ২১ এপ্রিল কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

২১ এপ্রিল কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

শুক্রবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ

EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট

২১ এপ্রিল কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

গত শুক্রবার EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের কোনো মুভমেন্টই দেখা যায়নি। সেদিন ছিল গুড ফ্রাইডে, এবং এর পরে ছিল ইস্টার সানডে। ফলে অনেক দেশেই সরকারি ছুটি ছিল এবং ফিন্যান্সিয়াল মার্কেট বন্ধ ছিল। এর ফলে আন্তঃব্যাংক পর্যায়ে কোনো ট্রেডিং হয়নি, যার কারণে মার্কেটে পুরোপুরি স্থবিরতা দেখা গেছে। পাশাপাশি, সেদিন কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি বা কোন ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টও ছিল না।

EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট

২১ এপ্রিল কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

৫-মিনিট টাইমফ্রেমে শুক্রবার কোনো ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়নি এবং সারাদিন ধরে এই পেয়ারের মূল্যের ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতা ছিল মাত্র ৩৭ পিপস। সুতরাং, মার্কেটে এন্ট্রি করার কোনো মানে ছিল না।

সোমবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে এখনও EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বিরাজ করছে, যদিও গত সপ্তাহে এই পেয়ারের মূল্যের ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা গিয়েছে। যদি ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে আমদানিকৃত পণ্যে শুল্ক আরোপ এবং বৃদ্ধি অব্যাহত রাখেন, তাহলে এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। বর্তমানে মার্কেটে কেবলমাত্র বৈশ্বিক বাণিজ্য যুদ্ধ সংক্রান্ত খবরের প্রতিক্রিয়ায় মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হচ্ছে। যখন নতুন করে শুল্ক আরোপ হয়, তখন ডলারের দরপতন ঘটছে। আর যখন নতুন কোনো শুল্ক সংক্রান্ত খবর না থাকে, তখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়—যেমনটা গত সপ্তাহে হয়েছে।

সোমবার এই পেয়ারের ফ্ল্যাট ট্রেডিং চলমান থাকতে পারে। আমরা কোনো নির্দিষ্ট মুভমেন্টের পূর্বাভাস দিচ্ছি না, কারণ যেকোনো সময় বাণিজ্য যুদ্ধ সংক্রান্ত নতুন খবর আসতে পারে। ফলে, মার্কেটে যেকোনো মুহূর্তে হঠাৎ করে এই পেয়ারের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে।

৫-মিনিট টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য নিচের লেভেলগুলো গুরুত্বপূর্ণ: 1.0797–1.0804, 1.0859–1.0861, 1.0888–1.0896, 1.0940–1.0952, 1.1011, 1.1091, 1.1132–1.1140, 1.1189–1.1191, 1.1275–1.1292, 1.1330, 1.1395–1.1413, 1.1474–1.1483।

সোমবার কোন সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না বা কোন ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টও নেই, ফলে শুক্রবারের তুলনায় আজকের ট্রেডিংয়ে খুব বেশি পার্থক্যের সম্ভাবনা নেই। সুতরাং, এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা কমই থাকতে পারে—যদি না ট্রাম্প ইস্টার সানডের ছুটি উপলক্ষে নতুন করে শুল্ক আরোপের ঘোষণা করেন।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন ওপেন করা হয় (যা টেক প্রফিট ট্রিগার করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ভুল সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যাল নাও গঠিত হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: উদ্দেশ্যমূলক দিকে মূল্যের 15 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেট থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

* এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ মানে আপনার সচেতনতা বৃদ্ধি করা, কিন্তু একটি ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদান করা নয়
Go to the articles list Go to this author's articles Open trading account