logo

FX.co ★ ২২ এপ্রিল কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? নতুন ট্রেডারদের জন্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ

২২ এপ্রিল কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? নতুন ট্রেডারদের জন্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ

সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:

২২ এপ্রিল কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? নতুন ট্রেডারদের জন্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ

মঙ্গলবার কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই—না যুক্তরাষ্ট্রে, না ইউরোজোনে, না জার্মানিতে, না যুক্তরাজ্যে। সুতরাং, যদি মার্কেটের ট্রেডাররা সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রতি মনোযোগ দিতেও চাইত, আজ সেরকম কিছুই নেই। মার্কেটের ট্রেডাররা এখনও কেবলমাত্র "ট্রাম্পের পদক্ষেপের" ওপর ভিত্তি করেই ট্রেড করছে। উপরন্তু, সোমবার দেখা গিয়েছে যে, হোয়াইট হাউস থেকে কোনো খবর না থাকলেও ডলারের বড় ধরনের দরপতন হতে পারে। তাই, আজও মার্কিন মুদ্রার দরপতন অব্যাহত থাকলে আমরা অবাক হব না।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ:

২২ এপ্রিল কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? নতুন ট্রেডারদের জন্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ

ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধ ছাড়া অন্য কোনো মৌলিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করার খুব একটা প্রয়োজন নেই। ট্রাম্প যদি নতুন করে শুল্ক আরোপ বা বিদ্যমান শুল্ক বাড়াতে থাকেন, তাহলে অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত ডলারের দরপতন চলতে পারে। আমরা ট্রেডারদের পরামর্শ দেব, গুরুত্বপূর্ণ দেশ ও জোটগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের শুল্ক সংক্রান্ত বক্তব্য নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে। বাণিজ্য যুদ্ধে যেকোনো ধরনের উত্তেজনা বৃদ্ধি পেলে সেটি ডলারের আরও দরপতন ঘটাতে পারে। অন্যদিকে, উত্তেজনা প্রশমনের কোনো লক্ষণ—যা বর্তমানে অনুপস্থিত—ডলারকে সমর্থন দিতে পারে। তবে নতুন কোনো শিরোনাম ছাড়াও ডলারের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে।

গত সপ্তাহে ডোনাল্ড ট্রাম্প সেমিকন্ডাক্টরের ওপর শুল্ক আরোপের পরিকল্পনার ঘোষণা দেন, যা বৈশ্বিকভাবে অনেক দেশকেই প্রভাবিত করবে। চীনের সঙ্গে বাণিজ্য সংঘাতের বিষয়টি এখনও অমীমাংসিত, এবং এটি মার্কেটের ট্রেডারদের দৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব বহন করছে। ট্রাম্প আবারও ফেডারেল রিজার্ভের ওপর সুদের হার কমানোর চাপ প্রয়োগ করছেন এবং এমনকি জেরোম পাওয়েলকে বরখাস্ত করার হুমকিও দিয়েছেন, যদিও তার সেই ক্ষমতা নেই। মার্কেটের ট্রেডাররা এখনও ট্রাম্পের কার্যকলাপের প্রতি স্পষ্টভাবেই প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে এবং সেটি ডলার বিক্রি করে।

উপসংহার:

সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে। যেমনটা আমরা দেখছি, ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য ধারাবাহিকভাবে ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে, এবং সোমবার ইউরোর মূল্যও সেই ধারায় যোগ দিয়েছে। আজ মার্কেটে আলোড়ন সৃষ্টিকারী যেকোনো সংবাদ সম্ভাব্যভাবে কেবলমাত্র হোয়াইট হাউস থেকেই আসতে পারে। যদি ট্রাম্পের পক্ষ থেকে কোনো খবর না আসে, তাহলে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টের ধরন পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা কম। আগের মতোই, কেবলমাত্র টেকনিক্যাল লেভেলের ভিত্তিতেই ট্রেডিং করা উচিত।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন ওপেন করা হয় (যা টেক প্রফিট ট্রিগার করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ভুল সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যাল নাও গঠিত হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: উদ্দেশ্যমূলক দিকে মূল্যের 15 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেট থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

* এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ মানে আপনার সচেতনতা বৃদ্ধি করা, কিন্তু একটি ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদান করা নয়
Go to the articles list Go to this author's articles Open trading account