logo

FX.co ★ ২২ জুলাই কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

২২ জুলাই কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

সোমবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ

GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

২২ জুলাই কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

সোমবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট প্রায় EUR/USD পেয়ারের মতোই ছিল। এটি নির্দেশ করে যে মার্কেটে মার্কিন ডলার একটি নতুন দরপতনের ধারায় প্রবেশ করেছে। উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যই সেগুলোর ডিসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইনের উপরে কনসোলিডেশন করেছে, যা নিম্নমুখী প্রবণতার সমাপ্তি সংকেত দিচ্ছে। উভয় ক্ষেত্রেই গত তিন সপ্তাহে ডলারের শক্তিশালী হওয়ার পেছনে প্রধানত টেকনিক্যাল কারণ কাজ করেছে—বিশেষ করে পর্যায়ক্রমিক কারেকশনের প্রয়োজনীয়তা। এখন বিনিয়োগকারীরা সম্ভবত সেই সব মৌলিক কারণের কথা মনে করতে শুরু করবে, যা ডলারের বিরুদ্ধে কাজ করছিল, কিন্তু তা এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টে এখনো প্রতিফলিত হয়নি।

স্বাভাবিকভাবেই, চিরকাল ধরে ডলারের দরপতন হবে না। মাঝেমধ্যে দীর্ঘমেয়াদী কারেকশন অথবা স্থানীয় ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাবে। তবে, 2025 সাল পর্যন্ত টানা ১৬ বছর ধরে মার্কিন কারেন্সির মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছিল। এবং আমরা জানি, বৈশ্বিক প্রবণতা যেমন পাল্টায়, স্থানীয় প্রবণতা তেমনি পাল্টায়। যদি আমরা এখন একটি নতুন প্রবণতা সূচনায় থাকি, তবে ডলারের দরপতন দীর্ঘ সময় পর্যন্ত চলতে পারে। বিনিয়োগকারীদের জন্য এখনো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো বাণিজ্য যুদ্ধ, এবং এ বিষয়ে এখনো কোনো ইতিবাচক সংবাদ আসেনি।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

২২ জুলাই কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে, সোমবার বেশ কয়েকটি কার্যকর ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। ইউরোপীয় সেশনের একেবারে শুরুতেই, এই পেয়ারের মূল্য 1.3413–1.3421 এরিয়া থেকে রিবাউন্ড করে এবং একটি তুলনামূলকভাবে শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট শুরু হয়। তবে দুর্ভাগ্যবশত, 1.3466 লেভেলের কাছাকাছি পৌঁছানোর পর মূল্যের মুভমেন্ট থেমে যায় এবং এমনকি একটি সেল সিগন্যালও গঠিত হয়। ফলে, লং পজিশনগুলো ক্লোজ করতে হয়, এবং শর্ট ট্রেড থেকে কোনো লাভ হয়নি। তবে একই লেভেলের কাছাকাছি থেকে আসে পরবর্তী বাই সিগন্যালটি, যার মাধ্যমে পুনরায় লং পজিশন ওপেন করা সম্ভব হয় এবং তা লাভজনক ছিল। শেষ পর্যন্ত তিনটি ট্রেডের মধ্যে দুটি ট্রেড থেকে লাভ করা গেছে।

মঙ্গলবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেম অনুযায়ী, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের একটি নতুন স্থানীয় ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা গঠনের প্রস্তুতি দেখা যাচ্ছে। এই পেয়ারের মূল্য ডিসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইনের উপরে কনসোলিডেশন করেছে, যা সামনের সপ্তাহগুলোতে সম্ভাব্য মূল্য বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিচ্ছে। তদুপরি, মৌলিক প্রেক্ষাপট এখনো মার্কিন ডলারের বিপক্ষে কাজ করছে।

মঙ্গলবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থেকে মূল্য 1.3525 লেভেলের দিকে অগ্রসর হতে পারে। ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করার পর মূল্য কিছুটা রিট্রেস করে এবং পরে নতুন আবার প্রবণতা শুরু হয়—এটি একটি সাধারণ ঘটনা।

৫-মিনিটের টাইমফ্রেম অনুযায়ী আপনি ট্রেডিংয়ের জন্য নিচের লেভেলগুলো বিবেচনায় নিতে পারেন: 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329–1.3331, 1.3413–1.3421, 1.3466, 1.3518–1.3525, 1.3574–1.3590, 1.3643–1.3652, 1.3682, 1.3763, 1.3814–1.3832।

মঙ্গলবার উল্লেখযোগ্য একমাত্র ইভেন্ট হলো জেরোম পাওয়েলের ভাষণ। তবে অবশ্যই ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে, ডোনাল্ড ট্রাম্প যেকোনো মুহূর্তে মার্কেটে একটি নতুন "ঝড়" সৃষ্টি করতে পারেন।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

  1. সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
  2. ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
  3. ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
  4. ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
  5. MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
  6. নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
  7. স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।

চার্টের মূল উপাদান:

সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।

লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।

ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

* এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ মানে আপনার সচেতনতা বৃদ্ধি করা, কিন্তু একটি ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদান করা নয়
Go to the articles list Go to this author's articles Open trading account