logo

FX.co ★ জুলাইয়ে জার্মানির শিল্প উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে – যার ফলে ইউরোর মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে

জুলাইয়ে জার্মানির শিল্প উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে – যার ফলে ইউরোর মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে

জুলাই মাসে জার্মানির শিল্প উৎপাদন প্রত্যাশার চেয়ে বেশি বৃদ্ধি পাওয়ার খবর প্রকাশের পর ইউরোর মূল্যের সামান্য ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট দেখা গেছে। এ ফলাফল কিছুটা আশা জাগিয়েছে যে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ খাতটি হয়তো স্থিতিশীল হচ্ছে এবং শিগগিরই দীর্ঘমেয়াদি মন্দা কাটিয়ে উঠতে পারবে।

Destatis-এর তথ্যমতে, পূর্ববর্তী মাসের তুলনায় শিল্প উৎপাদন 1.3% বৃদ্ধি পেয়েছে, যা মূলত যন্ত্রপাতি এবং সরঞ্জাম উৎপাদনের বৃদ্ধির কারণ চালিত হয়েছে। মার্চ মাসের পর শিল্প উৎপাদন সূচকটি প্রথমবারের মতো বৃদ্ধি পেয়েছে।

জুলাইয়ে জার্মানির শিল্প উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে – যার ফলে ইউরোর মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে

তবে এই সামান্য পুনরুদ্ধারকে পূর্ণাঙ্গ অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের সংকেত হিসেবে দেখা উচিত নয়। জার্মানি এবং ইউরোজোনের সামষ্টিক অর্থনৈতিক সূচকগুলোর ফলাফল এখনো নাজুক অবস্থায় রয়েছে, সেইসাথে ভূরাজনৈতিক ঝুঁকি এবং কাঠামোগত সমস্যার চাপ তো আছেই। তবুও, জার্মানির শিল্পখাতের এই ইতিবাচক চমক দেশটির এই খাতের সম্ভাব্য স্থিতিশীলতার একটি আলোর দিশারি হিসেবে কাজ করছে, যা ঐতিহ্যগতভাবে ইউরোপীয় অর্থনীতির চালিকাশক্তি হিসেবে বিবেচিত হয়।

প্রত্যাশার চেয়ে বেশি শিল্প উৎপাদন বৃদ্ধিকে কয়েকটি কারণ দ্বারা ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। প্রথমত, দীর্ঘমেয়াদি পতনের পর নিম্নভিত্তি প্রভাব সামান্য উন্নতিকেও বড় মনে করাতে পারে। দ্বিতীয়ত, অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত করতে সরকারি প্রণোদনা ও সহায়তা কার্যক্রম ভূমিকা রেখেছে। তৃতীয়ত, কিছু দেশ বা খাত থেকে জার্মান পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধিও সূচকটির পুনরুদ্ধারে অবদান রাখতে পারে।

ইতিবাচক প্রবণতা থাকা সত্ত্বেও সতর্ক থাকা প্রয়োজন। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এখনো অস্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে, বাণিজ্যযুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে, আর জ্বালানি সংকট ইউরোপীয় ব্যবসাগুলোকে চাপের মধ্যে রাখছে।

শিল্প পরিসংখ্যান দপ্তর আরও জানিয়েছে, পূর্ববর্তী মাসের পতনের হার প্রাথমিকভাবে প্রকাশিত 1.9% থেকে সংশোধন করে মাত্র 0.1%-এ নামানো হয়েছে। উল্লেখ করা হয়েছে যে এ পরিবর্তন মূলত এক প্রধান গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের পরবর্তী সময়ে প্রদত্ত সংশোধিত প্রতিবেদনের কারণে ঘটেছে।

এ প্রতিবেদন তৃতীয় প্রান্তিকে উৎপাদকদের ভালো সূচনা নির্দেশ করছে, যাদের দুর্বলতাই আগের সময়ে ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতির সংকোচনের প্রধান কারণ ছিল। এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত দেশটির জিডিপি 0.3% হ্রাস পেয়েছিল।

তবে, আজকের প্রতিবেদনের বিপরীতে, গত শুক্রবার প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী জুলাইয়ে শিল্প অর্ডারে অপ্রত্যাশিত পতন দেখা গেছে, যার ফলে এই খাত দ্রুত তিন বছরের মন্দা থেকে বেরিয়ে আসবে—এমন আশাবাদকে দুর্বল করেছে।

EUR/USD-এর বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্রের ক্ষেত্রে, ক্রেতাদের এখন এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1740-এর লেভেল ব্রেক করে ওপরের দিকে নিয়ে যেতে হবে। কেবল তখনই এই পেয়ারের মূল্যের 1.1781 লেভেল টেস্টের সুযোগ তৈরি হবে। সেখান থেকে মূল্যের 1.1825 পর্যন্ত ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে, যদিও বড় ট্রেডারদের সহায়তা ছাড়া এটি অর্জন করা কঠিন হবে। চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হলো 1.1875-এর উচ্চতা। অন্যদিকে, দরপতনের ক্ষেত্রে আমি কেবল মূল্য 1.1705 এর আশেপাশে থাকা অবস্থায় ক্রেতাদের মধ্যে এই পেয়ার ক্রয়ের শক্তিশালী আগ্রহের প্রত্যাশা করছি। যদি সেখানেও ক্রেতারা সক্রিয় না হয়, তবে 1.1660 লেভেল টেস্টের জন্য অপেক্ষা করা বা 1.1630 থেকে লং পজিশন ওপেন করাই উত্তম হবে।

GBP/USD-এর বর্তমান টেকনিক্যাল চিত্রের ক্ষেত্রে, পাউন্ডের ক্রেতাদের এই পেয়ারের মূল্যের 1.3520 নিকটবর্তী রেজিস্ট্যান্স অতিক্রম করাতে হবে। কেবল তখনই মূল্যকে 1.3550-এর লক্ষ্যমাত্রার দিকে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে, যার ওপরে মূল্যের আরও ঊর্ধ্বমুখী হওয়া কঠিন হবে। চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হলো 1.3590 লেভেল। অন্যদিকে, দরপতনের ক্ষেত্রে মূল্য 1.3485 এর আশেপাশে থাকা অবস্থায় বিক্রেতারা পুনরায় নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করবে। তারা সফল হলে, এই রেঞ্জ ব্রেক করে GBP/USD পেয়ারের মূল্য দ্রুত 1.3450-এর দিকে নেমে যাবে এবং পরবর্তীতে 1.3415 পর্যন্ত পৌঁছানোর সম্ভাবনা তৈরি হবে।

* এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ মানে আপনার সচেতনতা বৃদ্ধি করা, কিন্তু একটি ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদান করা নয়
Go to the articles list Go to this author's articles Open trading account