logo

FX.co ★ ১০ সেপ্টেম্বর কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

১০ সেপ্টেম্বর কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

মঙ্গলবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:

EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট

১০ সেপ্টেম্বর কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

মঙ্গলবার কোনো কারণ ছাড়াই EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হয়েছে। মনে করিয়ে দিই, গতকাল বার্ষিক ননফার্ম পেরোলস প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা ছিল—যে প্রতিবেদনটির ফলাফল প্রাথমিকভাবে মার্কিন ডলারের জন্য ইতিবাচক কিছুই নিয়ে আসেনি। শেষ পর্যন্ত, বার্ষিক ননফার্ম পেরোল প্রতিবেদনের সংশোধিত ফলাফলে প্রায় 1 মিলিয়ন কর্মসংস্থান হ্রাস পেয়েছে। সুতরাং, গতকাল ডলারের দরপতন অব্যাহত থাকার ব্যাপক সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু এর পরিবর্তে আমরা দেখলাম এর উল্টোটা—ডলারের দর বৃদ্ধি পেয়েছে। উল্লেখযোগ্য যে, ট্রেডিং 5-মিনিটের চার্টে হচ্ছে। এই ধরনের স্টাইলের (দৈনিক ভিত্তিতে) ট্রেডিং সাধারণত সামষ্টিক অর্থনৈতিক সূচকের উপর নির্ভর করে না। অন্য কথায়, গতকাল দুটি ট্রেডিং সিগন্যাল তৈরি হয়েছিল, যা ননফার্ম পেরোল প্রতিবেদনের উপর নির্ভর না করেই ব্যবহার করা যেত। সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমি কেবল টেকনিক্যাল বিশ্লেষণকে সমন্বয় করে। তাই ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়াতে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। মুভমেন্টটি কেবল অস্বাভাবিক এবং অযৌক্তিক ছিল। ঘণ্টাভিত্তিক চার্টে ট্রেন্ডলাইনের ইঙ্গিত অনুযায়ী এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা এখনও কার্যকর রয়েছে।

EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট

১০ সেপ্টেম্বর কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

মঙ্গলবার 5-মিনিটের চার্টে দুটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। প্রথমে, এই পেয়ারের মূল্য 1.1737–1.1745 এরিয়া থেকে বাউন্স করেছিল, কিন্তু মূল্য প্রায় 15 পিপসের বেশি বৃদ্ধি পায়নি, যা ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করার জন্য যথেষ্ট ছিল। মার্কিন ট্রেডিং সেশনে একটি সেল সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল; তবে, ননফার্ম পেরোলস প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফলের কথা বিবেচনা করলে শর্ট পজিশন ওপেন করার ঝুঁকি নেওয়া যুক্তিযুক্ত হতো না।

বুধবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, EUR/USD পেয়ারের মূল্যের চলতি বছরের শুরু থেকে গঠিত ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে—এখন ফ্ল্যাট মুভমেন্টের সমাপ্তি ঘটেছে বলে বিবেচনা করা যেতে পারে। মার্কিন ডলারের জন্য মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমি এখনও বেশ নেতিবাচক, তাই আমরা এখনও আমেরিকান মুদ্রার দর বৃদ্ধির কোনো সম্ভাবনা দেখছি না। আমাদের মতে, পূর্বের মতোই, মার্কিন ডলার কেবল টেকনিক্যাল কারেকশনের উপর নির্ভর করতে পারবে।

বুধবার, EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট পুনরায় শুরু হতে পারে, যেহেতু আগের দিনের দরপতন একেবারেই অযৌক্তিক ছিল। তবে, 1.1655–1.1666 এবং 1.1737–1.1745 এরিয়াতে নতুন ট্রেডিং সিগন্যাল গঠন হওয়া দরকার।

5-মিনিটের চার্টে যে লেভেলগুলো পর্যবেক্ষণ করা উচিত: 1.1198–1.1218, 1.1267–1.1292, 1.1354–1.1363, 1.1413, 1.1455–1.1474, 1.1527, 1.1571–1.1584, 1.1655–1.1666, 1.1737–1.1745, 1.1808, 1.1851, 1.1908। বুধবার যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন মূল্য সূচক (PPI) প্রকাশিত হবে, যা আমাদের দৃষ্টিতে খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়। গত মাসে, উৎপাদক মূল্য সূচক বা PPI-এর শক্তিশালী ফলাফল প্রকাশিত হয়েছিল এবং মার্কেটে উল্লেখযোগ্য প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছিল। যদি আজকের প্রতিবেদনের ফলাফলও পূর্বাভাসের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে ভিন্ন হয়, তাহলে মার্কেটে বাড়তি প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

  1. সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
  2. ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
  3. ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
  4. ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
  5. MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
  6. নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
  7. স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।

চার্টের মূল উপাদান:

সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।

লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।

ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

* এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ মানে আপনার সচেতনতা বৃদ্ধি করা, কিন্তু একটি ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদান করা নয়
Go to the articles list Go to this author's articles Open trading account