সোমবারের ট্রেডিংয়ের পর্যালোচনা:
EUR/USD পেয়ারের 1-ঘন্টার চার্ট

সোমবার মার্কেটে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের খুবই স্বল্প মাত্রার ভোলাটিলিটি এবং সামান্য ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অপ্রত্যাশিত নয়, কারণ ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে সার্বিক প্রবণতা কয়েক সপ্তাহ আগেই ঊর্ধ্বমুখী হয়ে গিয়েছিল, এবং বৈশ্বিক মৌলিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিলে, যেকোনো স্থানীয় পরিস্থিতির মধ্যেও ইউরোর মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা একেবারেই যৌক্তিক। তবে, অত্যন্ত স্বল্প মাত্রার ভোলাটিলিটির কারণ হলো — সোমবার কোনো গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি বা কোনো মৌলিক ইভেন্টও নির্ধারিত ছিল না। শুধুমাত্র জার্মানির বিজনেস ক্লাইমেট ইনডেক্স সংক্রান্ত প্রকাশিত হয়েছিল, তবে এটির ফলাফল মার্কেটে খুব বেশি প্রভাব ফেলেনি। মনে করিয়ে দেই, গত শুক্রবার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল, কিন্তু তারপরও মার্কেটে ভোলাটিলিটির মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়েনি। এটি বর্তমানে মার্কেটের পরিস্থিতির একটি সার্বিক চিত্র তুলে ধরে। তারপরও, স্থানীয়ভাবে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বিদ্যামান এবং বৈশ্বিক পর্যায়েও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। তাই, আমরা প্রত্যাশা করছি যে ইউরোর মূল্য বৃদ্ধি চলমান থাকবে।
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট

৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে, সোমবার শুধুমাত্র একটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। মার্কিন ট্রেডিং সেশনের শুরুর দিকে, এই পেয়ারের মূল্য 1.1655 লেভেল থেকে রিবাউন্ড করে, কিন্তু পরবর্তী ঘন্টাগুলোতে স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে মার্কেটে আর কোনো উল্লেখযোগ্য মুভমেন্ট দেখা যাবে না — এমনকি যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে নতুন "সমঝোতামূলক চুক্তি" স্বাক্ষরের সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও। ফলে, এই সেল ট্রেডটি যেকোনো সময় ব্রেকইভেনে ক্লোজ করে দেওয়া যেত।
মঙ্গলবার কীভাবে ট্রেডিং করতে হবে:
ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার কিছুটা সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। এই পেয়ারের মূল্য ডিসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন ব্রেকআউট করে ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে এবং সামগ্রিক মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট এখনো মার্কিন ডলারের জন্য অনুকূল নয়। অতএব, আমরা ২০২৫ সালে পরিলক্ষিত ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার প্রত্যাশা করছি। তবে, দৈনিক টাইমফ্রেমে এখনো এই পেয়ারের মূল্যের ফ্ল্যাট রেঞ্জের মধ্যে অবস্থায় করার প্রবণতা বজায় আছে, যার ফলে লোয়ার টাইমফ্রেমে স্বল্প মাত্রার ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতা বিরাজ করছে এবং অনেক সময় অযৌক্তিক মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হচ্ছে।
মঙ্গলবার, EUR/USD পেয়ারের মূল্যের যেকোনো দিকেই মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে — তবে আবারও খুব স্বল্প মাত্রার ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতা পরিলক্ষিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 1.1655–1.1666 এরিয়া থেকে নতুন ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হতে পারে, তবে এক্ষেত্রেও ভোলাটিলিটির মাত্রা বিবেচনায় রাখতে হবে।
৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য বিবেচ্য গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো হলো: 1.1354–1.1363, 1.1413, 1.1455–1.1474, 1.1527, 1.1571–1.1584, 1.1655–1.1666, 1.1745–1.1754, 1.1808, 1.1851, 1.1908, 1.1970–1.1988।
মঙ্গলবার, যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোজোনে তেমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না বা কোনো আকর্ষণীয় ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। একমাত্র কিছুটা উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন হিসেবে জার্মানির কনজ্যুমার কনফিডেন্স ইনডেক্স বা ভোক্তা আস্থা সূচককে বিবেচনা করা যেতে পারে, তবে এটিও খুব সম্ভবত মার্কেটে বড় ধরণের কোনো প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে না। ফলে আমরা সম্ভবত আরও একটি বিরক্তিকর দিনের সম্মুখীন হতে যাচ্ছি — যেমনটি এখন নিয়মিত ঘটছে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
- সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
- ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
- ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
- ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
- MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
- নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
- স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।
চার্টে কী কী রয়েছে:
- সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
- লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
- MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
নতুন ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
