logo

FX.co ★ কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন, ২৮ অক্টোবর: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন, ২৮ অক্টোবর: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

সোমবারের ট্রেডিংয়ের পর্যালোচনা:

GBP/USD পেয়ারের 1-ঘন্টার চার্ট

কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন, ২৮ অক্টোবর: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

মঙ্গলবার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্যে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করা হয়েছে, যদিও ভোলাটিলিটির মাত্রা অত্যন্ত সীমিত ছিল। ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে — এই বিষয়টিই ইতিবাচক, কারণ গত কয়েক সপ্তাহে মার্কেটের ট্রেডাররা এমন অনেক সামষ্টিক অর্থনৈতিক ও মৌলিক উপাদান সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করেছে, যেগুলো প্রকৃতপক্ষে এই পেয়ারের মূল্য বৃদ্ধির পক্ষে ছিল। আমরা আগেও উল্লেখ করেছি, মূল বিষয় হলো দৈনিক টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের মূল্যের ফ্ল্যাট রেঞ্জে অবস্থান করার প্রবণতা বজায় রয়েছে — যেকারণে লোয়ার টাইমফ্রেমগুলোতে দুর্বল এবং অযৌক্তিক মুভমেন্ট দেখা যাচ্ছে। তবে, মূল্য এই ফ্ল্যাট রেঞ্জে চিরকাল অবস্থান করবে না, তাই একটি নতুন এবং শক্তিশালী মুভমেন্টের জন্য প্রস্তুত থাকা প্রয়োজন। মার্কেটের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায়, কেবল ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টেরই আশা করা যেতে পারে। সোমবার যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্রে তেমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ছিল না বা কোনো প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়নি, তবে গত শুক্রবার অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল, এবং সেদিনও সোমবারের মতোই ট্রেডিং পরিলক্ষিত হয়েছে।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন, ২৮ অক্টোবর: নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ টিপস ও বিশ্লেষণ

৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে সোমবার কয়েকটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, তবে সবগুলোই ভুল প্রমাণিত হয়। আমরা বহুবার বলেছি, যখন ভোলাটিলিটি অনেক কম থাকে, তখন সিগন্যাল, লেভেল অথবা ট্রেডিং এরিয়া থেকে লাভের আশা করা কষ্টকর। পাউন্ড পেয়ারের মূল্য 1.3329–1.3331 এরিয়া অতিক্রম করেছে এবং এটির মূল্য আরও ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে, তবে মূল্য ইতোমধ্যে পঞ্চমবারের মতো এই এরিয়া অতিক্রম করার চেষ্টা করেছে।

মঙ্গলবার কীভাবে ট্রেডিং করতে হবে:

ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, নতুন করে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা গঠিত হতে শুরু করেছে, যা বৈশ্বিক পর্যায়ে নতুন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সূচনা নির্দেশ করতে পারে। তবে, ব্রিটিশ কারেন্সির মূল্য ইতোমধ্যে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে নিম্নমুখী ছিল। আমরা আগেও বলেছি, ডলারের মূল্যের দীর্ঘমেয়াদী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় রাখার পক্ষে কোনো দৃঢ় ভিত্তি নেই, তাই মধ্যমেয়াদে আমরা শুধুমাত্র এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি। বর্তমানে, ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতার মাত্রা অতি দুর্বল রয়েছে এবং এখনো এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার স্পষ্ট সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।

মঙ্গলবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে, তবে আজ কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার কথা নেই। এই পেয়ারের মূল্য 1.3329–1.3331 এরিয়া ব্রেকআউট করলে সেটি লং পজিশন ওপেন করার জন্য ব্যবহার করা যেত, তবে রাতেরবেলা এই প্রচেষ্টা পরিলক্ষিত হয়েছে এবং প্রথম প্রচেষ্টায় এটি ঘটেনি।

৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে বর্তমানে ট্রেড করার জন্য বিবেচ্য গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো হলো: 1.3102–1.3107, 1.3203–1.3211, 1.3259, 1.3329–1.3331, 1.3413–1.3421, 1.3466–1.3475, 1.3529–1.3543, 1.3574–1.3590, 1.3643–1.3652, 1.3682 এবং 1.3763।

মঙ্গলবার, যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্রে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না বা কোনো ইভেন্টও নির্ধারিত নেই। তাই আজও খুব দুর্বল মাত্রার ভোলাটিলিটি এবং এলোমেলো মুভমেন্টের সম্ভাবনা রয়েছে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

  1. সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
  2. ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
  3. ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
  4. ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
  5. MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
  6. নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
  7. স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।

চার্টে কী কী রয়েছে:

  • সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
  • লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
  • MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

নতুন ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।

ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

* এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ মানে আপনার সচেতনতা বৃদ্ধি করা, কিন্তু একটি ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদান করা নয়
Go to the articles list Go to this author's articles Open trading account